সামডি ইসিএল কোলিয়ারি এলাকায় কোয়াটারের ছাদের চাঙর ভেঙে বিপত্তি, বড়সড়ো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

কাজল মিত্র :- সালানপুর থানার অন্তর্গত সামডি কোলিয়ারি এলাকায় সামডি এন এইচ এস কলোনির কোয়াটারের ছাদের চাঙর ভেঙে পড়ে বড়সড়ো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা। জানাযায় যে শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ ২৪/১৮৬ নম্বর কোয়ার্টার এর বাসিন্দা মধু মুচি বাড়ির বিছানায় শুয়ে ছিল কিছুক্ষন পর বিছানা থেকে উঠেবাথরুমের দিকে যান আর ঠিক আচমকাই ছাদের চাঙর ভেঙে পড়ে তার বিছানার উপর।এবং বিকট আওয়াজ হয় সেই আওয়াজ শুনে তিনি বাথরুম থেকে ছুটে আসেন এবং ছুটে আসেন পাশের রুমে থাকা তার স্ত্রী সহ পুত্রবধু।এরপরেই আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সমাজসেবী স্বপন মন্ডল।সেখানে পৌঁছে তিনি ইসিএল এর আধিকারিকদের খবর দিলে খবর পেয়ে ইসিএল ম্যানেজমেন্টের এক আধিকারিক এসে সমস্ত দিক ঘুরে দেখেন।
এই বিষয়ে ইসিএল কর্মী মধুমুচি জানান তিনি কাজোরা এরিয়ার পরাশ কোল কোলিয়ারিতে একজন কর্মচারী তিনি এইকোয়ার্টারে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। যেদিন থেকে এই কোয়াটার আছেন তখন থেকে এই কোয়াটার গুলি সংস্কার এর অভাবে এমনই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।ইসিএল আধিকারিকদের বারবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি।এর আগেও বহুবার এরকম ছোট খাটো ঘটনা ঘটেছে।


মধুমুচি স্ত্রী জানান, তারা এই ইসিএল এর কোয়ার্টারে ছেলে বৌমা ও নাতি নাতনী নিয়ে দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে বসবাস করছে ।কোয়ার্টার গুলি বেহাল হয়ে পড়েছে ।যার ফলে প্রায়শই কিছু না কিছু ভেঙে পড়ছে ফলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।আজকেও বড় ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলাম ,তাদের কোয়ার্টারের ছাদের চাঙর ভেঙে স্বামীর মাথায় পড়তে পারত।কিন্তু সেই সময় তার স্বামী বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে গেছিল বলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাই।এবিষয়ে স্থানীয় সমাজ সেবী তথা সামডি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নেতা স্বপন মন্ডল জানান তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং দেখেন যে ছাদের চাঙর ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে আছে।তিনি সাথে সাথে এই ঘটনা ইসিএল এরআধিকারিকদের জানান।খবর পেয়ে ইসিএল এর এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসে এবং তিনি আশ্বাস দেন খুব শীঘ্রই কোয়াটার গুলি রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু হবে।


তবে তিনি জানান ২০০৮ সালে সামডি মুচিপাড়ায় ধস কবলিত বাসিন্দাদের জন্য এই এন এইচ এস কলোনি তে দুটি ব্লকে প্রায় ৫০ টি পরিবারকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল সেই সময় থেকে সমস্ত আবাসন গুলি সংস্কার করা হয়নি।ফলে বাড়ি গুলীর বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে ,সিঁড়িতে ওঠার ছাদ পর্যন্ত ভগ্ন প্রায় যেকোন সময় ভেঙে পড়বে তাছাড়া বাড়িগুলি থাকার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তিনি জানান এর আগেও প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল কিন্তু প্রশাসন এই বিষয়ে কোন হেলদোল করেনি,এবারও যদি সেরকম কোন কাজ না হয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *